ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের নিয়ম কানুন
অনলাইনে খাজনা দেওয়ার নিয়ম জানা ভুমি মালিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখন ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিটারের মাধ্যমে ভুমি খাজনা পরিশোধ করা সম্ভব। তবে এই প্রক্রিয়া জানলে সবাই সহজেই অনলাইনে জমির খাজনা দিতে পারবে। এখন ঘরে বসেই মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমে অনলাইনে আপনার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। এটি কেবল আপনার মূল্যবান সময়ই বাঁচাবে না, বরং হয়রানি থেকেও মুক্তি দিবে।
আমার এই লেখনীতে ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবেন। এর সুবিধাগুলো কি এবং পদ্ধতিটি সহজ করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করব। ফলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন এবং জমির মালিকানা ধরে রাখতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের নিয়ম কানুন
- অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের নিয়ম কানুনের প্রয়োজনীয়তা
- অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের পূর্ব প্রস্তুতি
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- প্রোফাইলে প্রবেশ ও হোল্ডিং যুক্ত করুন
- জমির তথ্য যাচাই এবং বকেয়া নিরীক্ষা
- বকেয়া পরিশোধের জন্য নির্বাচন
- পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন ও সম্পন্ন করেন
- দাখিলা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
- অনলাইনে খাজনা পরিশোধের সুবিধা
- অনলাইনে খাজনা পরিশোধে কিছু সতর্কতা ও টিপস
- উপসংহার
- লেখকের মন্তব্য
১.অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের নিয়ম কানুনের প্রয়োজনীয়তা
ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি যেমন সময়
বাঁচায় তেমনি ভূমি অফিসে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার
প্রয়োজন হয় না। হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ দিয়েই এই কাজটি
সম্পন্ন করা সম্ভব। দিনের যেকোনো সময়, যেকোন স্থান থেকে আপনি অনলাইনে
খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যাংক ছুটির দিন বা অফিসের সময়সীমা নিয়ে কখনো
চিন্তা করতে হবে না। ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি হওয়ায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম
থাকে এবং সঠিক তথ্যের নিশ্চিত করা যায়। অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধের
নিয়মটি অনুসরণ করা এখন সময়ের দাবি। এটি একটি সহজ ও নিরাপদ উপায় আপনার কর
পরিশোধ করার জন্য।
আরো পড়ুনঃ
২. অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের পূর্ব প্রস্তুতি
অনলাইনে জমির খাজনা দেওয়ার জন্য প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.ldtax.gov.bd অথবা www.land.gov.bd তে প্রবেশ করতে হবে। এখানে নিচের ছবিতে প্রদর্শিত চিত্রটি আসবে। এখানে লগইন অপশন থেকে তিনটি মেনু বের হবে তার মধ্যে লাল তীর চিহ্নিত মেনু দুটির মধ্যে একটি রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এই মেনু ব্যবহার হয়। এই অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নাম্বার, জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্মসনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে লগইন করে প্রোফাইল আপডেট করতে হয় এবং জমির খতিয়ান যুক্ত করতে হয়। খতিয়ান ভেরিফাই হলে” পেমেন্ট” অপশনে গিয়ে খাজনার পরিমাণ দেখা যাবে। একবার নিবন্ধন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে সেটি দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করুন। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং সেটি গোপনে নোট করে রাখুন। কেননা প্রতিবার অনলাইনে খাজনা প্রদানের সময় আপনার ইউজার আইডি এবং এই পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে। এটি হলো অনলাইনে খাজনা পরিশোধের নিয়মের প্রথম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।এই ধাপগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আপনি পরবর্তী ধাপগুলোকে সহজে প্রবেশ করতে পারবেন।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অনলাইনে খাজনা পরিশোধের জন্য প্রথমে নিবন্ধন করতে হয় যাহা উপরে আলোচিত হইল। সে
ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয়
পরিচয় পত্র, অথবা জন্ম সনদপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পূর্ববর্তী
দাখিলার কপি, খতিয়ানের কপি এবং প্রয়োজনীয় দলিলের কপি।কাগজপত্রের সঠিকতা
নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুল তথ্যের কারণে অনলাইনে খাজনা
পরিশোধে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই নিবন্ধন করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা
খরচ হয় না। একদম ফ্রি ভাবে নিবন্ধন করা যায়। অথবা এই কাগজপত্র
নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে
যোগাযোগ করেও নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়। এই নিবন্ধন একবারই করতে
হয়। নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই আপনি যে কোন স্থানে, যেকোনো সময় মোবাইল বা
ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ এর মাধ্যমে অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করতে সক্ষম
হবেন।
আরো পড়ুনঃ
৪. প্রোফাইলে প্রবেশ ও হোল্ডিং যুক্ত করুন
নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার ইউজার আইডি (ইউজার আইডি সাধারণত মোবাইল নাম্বার হয়) এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন। নিবন্ধন হওয়ার পর ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর যখন লগইন করবেন তখন নিচের ছবিতে প্রদর্শিত দৃশ্যটি দেখতে পাবেন। এখানে আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য লাল বাটন এবং তীর চিহ্নিত করে দেওয়া আছে যাহাতে আপনি সহজে বুঝতে পারেন। এখানে আপনি আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং ক্যাপচা কোড ব্যবহার করে লগইন করুন।
লগইন করার পর আপনি আপনার প্রোফাইল ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি নতুন হোল্ডিং যুক্ত করার আবেদন করতে পারবেন।সে ক্ষেত্রে “নতুন খতিয়ান যুক্ত করুন” অপশনে ক্লিক করুন। ড্যাশবোর্ড থেকে খতিয়ান অপশন পাবেন। নিচের ছবিতে লাল চিহ্নিত বাটন দেখানো আছে। এখানে ক্লিক করলে নিচের ছবিতে প্রদর্শিত অপশনটি পাবেন। এখানে “নতুন খতিয়ানের তথ্য প্রদান করতে ক্লিক করুন” যাহা নিচের ছবিতে লাল তীর চিহ্ন দিয়ে দেখানো আছে। এখানে ক্লিক করলে আপনার বিভাগের নাম, জেলার নাম, মৌজার নাম, মৌজা নম্বর এবং খতিয়ান নম্বর এর অপশন গুলো আসবে। এখানে আপনার বিভাগের নাম, জেলার নাম, উপজেলার নাম, মৌজার নাম, মৌজা নম্বর, খতিয়ান নম্বর এবং দাগ নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সংযুক্তি বাটনে ক্লিক করে সংযুক্ত করে দিন। যে সমস্ত অপশন গুলো বলা হলো এগুলো পর্যায়ক্রমে বাটন গুলি পাবেন যাহা আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন। উপরে লিখিত ওই সকল তথ্য গুলো আপনার জমির কাগজ পত্রের মধ্যেই পাবেন।
আরো পড়ুনঃ
তবে একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, প্রতিটি তথ্য যেন আপনার জমির দলিলের সাথে হুবহু মিলে দেয়। একাধিক খতিয়ান বা দাগ থাকলে সেগুলো একে একে যুক্ত করুন। সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রবেশ করানোর পর “দাখিল করুন” বাটনে ক্লিক করুন্ এই প্রক্রিয়ায় যদি কোন ভুল হয়, তাহলে পরবর্তীতে অনলাইন প্রক্রিয়ায় জমির খাজনা পরিশোধে অনেক সমস্যা হবে। অতএব অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধের নিয়ম জানতে হলে এই ধাপটি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
৫. জমির তথ্য যাচাই এবং বকেয়া নিরীক্ষা
নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর এবং প্রোফাইলে প্রবেশ করার পর সিস্টেম আপনার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী জমির বিস্তারিত বিবরণ প্রদর্শন করবে। এই ধাপে আপনার জমির মালিকানা, জমির পরিমাণ, জমির শ্রেণী এবং পূর্বের বকেয়া খাজনার পরিমাণ যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। যদি কোন গড় মিল মনে হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে তার সংশোধন করিয়ে নিতে হবে। বকেয়া খাজনার তালিকা প্রদর্শিত হলে, কোন সাল থেকে কত টাকা বকেয়া আছে, তাহা ভালোভাবে দেখে নিন।অনলাইনে ভূমিকর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে, তথ্য সঠিক আছে। অনেক সময় সার্ভারের ত্রুটির কারণে ও তথ্য ভুল দেখাতে পারে, সে ক্ষেত্রে কিছুটা অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করুন। যদি আপনার মনে হয় যে বকেয়ার পরিমাণ সঠিক নয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।এই ধাপে সঠিক তথ্য যাচাই করা অনলাইনে খাজনা পরিশোধের নিয়মের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
৬. বকেয়া পরিশোধের জন্য নির্বাচন
জমির তথ্য এবং বকেয়া যাচাই করার পর আপনি যে খাজনার অর্থ পরিশোধ করতে চান তা
নির্বাচন করুন। তবে বকেয়া যে কয় বছর জমে যাবে বর্তমান সফটওয়্যারের
সিস্টেম অনুযায়ী সম্পূর্ণই দিতে হবে। হালনাগাদ এর পাশাপাশি বকেয়াও সিস্টেম
অনুযায়ী প্রদর্শিত করবে। বকেয়া বাকি রাখার সুযোগ সফটওয়্যার এ রাখা
নেই। খাজনা হালনাগাদ করতে হলে বকেয়াসহ হালনাগাদ করা বাধ্যতামূলক রাখা
হয়েছে সফটওয়্যার এর মধ্যে। আলাদা করে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
৭. পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন ও সম্পন্ন করেন
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের ক্ষেত্রে পেমেন্ট পদ্ধতি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইন পোর্টালে বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন থাকে। যেমন মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে রয়েছে (বিকাশ, রকেট, নগদ এবং উপায় ) ডেবিট কার্ড (ভিসা, মাস্টার কার্ড) ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি।আপনার সুবিধামতো যে কোন একটি পদ্ধতি বেছে নিন।
নির্বাচিত পেমেন্ট পদ্ধতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন। উপরে প্রদর্শিত ছবিতে পেমেন্টের যে গুলো অপশন দেওয়া আছে, ধরুন এর মধ্য থেকে আপনি বিকাশ অপশনটি বেছে নিলেন। এখন আপনি বিকাশ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার বিকাশে একটি ওয়ান টাইম ওটিপি আসবে তখন ওটিপি স্থাপন করে আপনার বিকাশ নাম্বার বসিয়ে কনফার্ম করুন। উপরের ছবিতে যাহা প্রদর্শিত হয়েছে। কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে আপনার জমির উন্নয়ন কর ভূমি মন্ত্রণালয়ের একাউন্টে জমা হয়ে যাবে। এরপর আপনি ড্যাশবোর্ডে গিয়ে দাখিলা বাটনে ক্লিক করে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনার রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন। যাহা উপর থেকে চতুর্থতম ছবিতে দেখতে পাবেন সেখানে দাখিলা নামক একটি বাটন আছে। তবে এক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করবেন না, সাবধানে সকল তথ্য পূরণ করুন। অনলাইনে জমির উন্নয়ন কর পরিশোধ করার নিয়মের মধ্যে এই ধাপটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
আরো পড়ুনঃ
৮. দাখিলা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
অনলাইনে জমির খাজনা প্রদানের ক্ষেত্রে পেমেন্ট অপশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর আপনি একটি ডিজিটাল দাখিলা পাবেন। যেটাকে আমরা সহজ ভাষায় খাজনার রশিদ বলি। এটা আপনার খাজনা পরিশোধের প্রমাণপত্র। এই দাখিলা বা খাজনা রশিদ অবশ্যই ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখুন এবং ভবিষ্যতের জন্য সযত্নে সংরক্ষণ করুন। নিচের ছবিতে ডিজিটাল দাখিলা দেখানো হয়েছে।
এই দাখিলার মধ্যে আপনার জমির বিবরণ, পরিশোধিত অর্থের পরিমাণ এবং লেনদেন আইডি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকে। এটি পরবর্তীতে যে কোন প্রয়োজনে যেমন, জমির নামজারি, হস্তান্তর বা অন্য কোন ভূমি সংক্রান্ত কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করে। যদি আপনি এই খাজনার রশিদ বা দাখিলা সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করতে না পারেন চিন্তার কোন কারণ নেই। পরবর্তীতে আপনার প্রোফাইলে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে” দাখিলা ডাউনলোড” অপশন থেকে পরে এটি সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে খাজনা পরিশোধের নিয়মের এই পদ্ধতিতে দাখিলা সংরক্ষণ করা ভবিষ্যতের যে কোন জটিলতা এড়ানো যায়।
৯. অনলাইনে খাজনা পরিশোধের সুবিধা
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত এটি সময় ও
শ্রম সাশ্রয় হয়।ভূমি অফিসে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় না।
দ্বিতীয়ত, এটি একটি হয়রানি মুক্ত এবং সহজ
প্রক্রিয়া।তৃতীয়তঃ যেকোনো সময় যেকোন স্থান থেকে আপনিও সেবা গ্রহণ করতে
পারবেন। চতুর্থত, এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। প্রতিটি
লেনদেনের রেকর্ড অনলাইনে সংরক্ষিত থাকে, যা ভুল বা দুর্নীতির সম্ভাবনা
কমায়। পঞ্চমত, ডিজিটাল দাখিলা সংরক্ষণ করা সহজ এবং হারানোর ভয় কম
থাকে।অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের পদ্ধতিটি ভুমি মালিকদের জন্য এক সহজ
ব্যবস্থাপনা এনে দিয়েছে।
১০. অনলাইনে খাজনা পরিশোধে কিছু সতর্কতা ও টিপস
যদিও অনলাইনে খাজনা পরিশোধ একটি সহজ প্রক্রিয়া। তবুও কিছু সতর্কতা অবলম্বন
করা প্রয়োজন। প্রথমত, শুধুমাত্র ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল
ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। ভুয়া ওয়েবসাইটের ফাঁদে পা দেবেন না। আপনার
ব্যক্তিগত তথ্য এবং পেমেন্ট এর বিস্তারিত কারো সাথে শেয়ার করবেন না।ইন্টারনেট
সংযোগ স্থিতিশীল আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। লেনদেন করার সময় তাড়াহুড়ো
করবেন না এবং প্রতিটি তথ্য কয়েকবার যাচাই করে নিন। পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার
পর অবশ্যই দাখিলা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। যদি পেমেন্ট ব্যর্থ হয় বা কোন
ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে পুনরায় চেষ্টা করার আগে আপনার অ্যাকাউন্ট বা
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যালেন্স চেক করে নিন। প্রয়োজনে ভূমি হেল্পলাইন নাম্বার
(১৬১২২) যোগাযোগ করুন।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায়, ঘরে বসে অনলাইনে জমির খাজনা প্রধান ব্যবস্থা বাংলাদেশের ভূমি
ব্যবস্থাপনায় একটি বিপ্লব সাধন করেছে। এই ব্যবস্থা জনগণের সময় ও শ্রম
সাশ্রয় করেছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই
পদ্ধতিটি সাধারণ মানুষের জন্য ভূমি সংক্রান্ত সেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত এবং ঝামেলা
মুক্ত করেছে। এটি কেবল আপনার সময় ও শ্রমই বাঁচায় না বরং ভূমি ব্যবস্থাপনার
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এই ডিজিটাল সুবিধাটি গ্রহণ করে আমরা
আমাদের মূল্যবান সময় বাঁচাবো এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে শরিক
থাকবো। অতএব অনলাইনে জমির খাজনা পরিষদের নিয়মটি জানা থাকলে আপনার জন্য
অনেক সুবিধা এবং সহজ হবে।
খুব সুন্দর পোস্ট হয়েছে। তবে প্রতিবার খাজনা দিতে গেলে কোন অপশন থেকে খাজনা দিতে হবে এই বিষয়টা আরও পরিষ্কার করে তুলে ধরুন। ধন্যবাদ।